Home » , , » কীভাবে তারুণ্য ধরে রাখা যায় ?

কীভাবে তারুণ্য ধরে রাখা যায় ?

আমরা সবাই চাই তারুণ্য ধরে রাখতে। তারুণ্য ধরে রাখতে শারীরিক ব্যায়াম যতোটা জরুরি, ঠিক ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক ব্যায়াম। কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল করে আপনি নিজেকে ধরে রাখতে পারেন একজন চির তরুণ হিসেবে।

গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর মনের ব্যায়াম ও তারুণ্য ধরে রাখার কিছু কার্যবলি এখানে তুলে ধরা হলঃ

বিভিন্ন মানসিক চ্যালেঞ্জ গ্রহনঃ
মানসিক স্বাস্থ ঠিক রাখতে মনকে কাজে ব্যস্ত রাখার কোন বিকল্প নেই। ছোট বেলায় আমারা নানান খেলার ছলে মন কে ব্যস্ত রাখতাম। বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের নানাবিধ মানসিক চাপ বেড়েছে। এতে মানসিক স্বাস্থ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। মন কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে আমাদের ব্রেনে নরঅ্যাড্রেনালিন হরমোন নামক ক্ষরণ হয় যার ফলে ব্রেনের কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। তাই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ গ্রহনের মাধ্যমে ব্রেনকে সচল রাখুন।

পুরনো স্মৃতি রোমন্থনঃ
মনের তারুণ্য ধরে রাখতে ও বার্ধক্য দূরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্মৃতিশক্তি কে সচল রাখা। পুরনো ঘটনা বা স্মৃতি গুলোকে মনে করার চেষ্টা করুন। ছোটবেলার সব বন্ধুদের নাম মনে করার চেষ্টা করতে পারেন। মনে করুন গুরুত্বপূর্ণ কোন সুখময় ঘটনা যেটা প্রায় ভুলে গেছেন। দেখবেন সুখময় ঘটনা মনে করার সাথে সাথে আপনার মনও ভাল হয়ে উঠছে।

শারীরিক পরিশ্রমঃ
শারীরিক পরিশ্রম ব্রেনের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যা আপনাকে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। শ্রম হার্টবিট বাড়ায় ও শরীর হতে ঘাম বের করে আপনার মানসিক কার্যকারিতা বাড়ায় কেননা এর ফলে ব্রেনে অধিকহারে রক্ত সঞ্চালিত হয়।
শারীরিক কাজ করার সুযোগ না থাকলে ছোট ছোট শারীরিক ব্যায়াম করুন যেমন জগিং, ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, সাইক্লিং, সাঁতার কাটুন বা বাগানে কাজ করুন।

মানসিক স্ট্রেস কমানঃ
মানসিক চাপ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থের সব চেয়ে বড় বাধা। আধুনিক যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা নানাবিধ মানসিক চাপে পরি যা আমাদের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিনের চাপ স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ করে ও মানসিক রোগ সৃষ্টি করে। এ থেকে বাঁচতে জীবনকে সহজ ভাবে গ্রহণ করতে হবে। আপনার রেগুলার কাজ হতে কিছু সময়ের বিরতি নিন। মন খারাপ হলে বা মানসিক চাপে থাকলে ভাল লাগার কাজগুলো করুন যেমন পছন্দের গান শুনুন, হাসির মুভি দেখতে পারেন অথবা আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন। যা আপনাকে আবার কাজ করতে উৎসাহিত করবে।

খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুনঃ
পুষ্টিকর খাবার আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রেখে তারুণ্য ধরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কম চর্বিযুক্ত খাবার, অধিক আঁশযুক্ত খবার, ফলমূল ও শাকসবজি খাবার তালিকায় বেশি রাখুন। সুষম খাবার খান আর চিরতারুণ্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ উপভোগ করুন।
জীবন যেহেতু আপনার নিজের তাই একে ভালোবেসে গড়ে তুলুন আপন আলোয়। আর বয়স যাইহোক মনে থাকুন চির তরুণ।
ads code bellow post
ads code here

0 comments:

Post a Comment

BD FOODS

► Popular Posts