পর্যাপ্ত খাবার খেয়েও ওজন কমানোর উপায়
বর্তমানে কম বেশি সবাই স্বাস্থ্য সচেতন,আর সেই সচেতনতার রেশ ধরেই সবাই নিজেদের ওজন কমানোর উপায় ways to lose weight খোঁজেন । অনেক ভোজন রসিক মানুষ ও ঠিকভাবে না জেনে শুনেই শুরু করে দেন না খেয়ে থাকার অভ্যাস । আপনিও যদি তাদের দলভুক্ত হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর ওজন কমানোর উপায় হিসেবে আপনাকে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হবে না । যারা পশ্চিমা ভিডিও দেখে দেখে না খেয়ে থাকছেন,তাদের জন্য বলছি এবার একটু খেয়ে দেয়ে চেষ্টা করে দেখুন। যারা এই লেখাটুকু পরে কিঞ্চিত চিন্তিত হয়ে পড়েছেন যে এও কি করে সম্ভব তারা জেনে নিন কি করে খাবারের সাথে সাথে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে ways to lose weight আলোচনা করা হয়েছে।ডাক্তারদের Doctor মতে,আপনি যদি ওজন কমানোর উপায় হিসেবে না খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়া কমে যাবে, যার ফলে ক্যালরি খরচ কমে যাবে,এক্ষেত্রে হিতে-বিপরীত হয়ে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরপক্ষে খাদ্য গ্রহন করলে আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পায় এবং শরীর পরিণত হয় ফ্যাট বা চর্বি পোড়ানোর যন্ত্রে। তাই না খেয়ে থাকার পরিবর্তে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন,অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার Healthy Food খেতে হবে ।এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি খাদ্য ওজন কমানোর উপায় ways to lose weight হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে-
১. পানি: ওজন কমানোর উপায় পানির বিকল্প খুবই কম।
বলা হয় পানির অপর নাম জীবন। পানিই হল একমাত্র খাদ্য উপাদান যা শরীরে কোন রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরে পানির ঘাটতি যেমন পূরণ হয়,তেমনি শরীরের দূষিত উপাদান সমূহ বের করে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে ।সুতরং পানির কোন বিকল্প নেই ।পানি আপনার রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে,যাতে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে ।
২ .সরিষার তেল:
প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দেশ রান্নার কাজে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় এতে আছে অনেক নিম্ন মাত্রার চর্বি ,যা শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না ও ওজন কমানোর উপায় ways to lose weight হিসেবে এটির ভুমিকা ও উল্লেখযোগ্য ।এছাড়া এতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিডের সঠিক অনুপাত,যা হৃদরোগ,ডায়েবেটিস Diabetes ও কিডনী রোগকেও দূরে রখে ।তাই রান্নার কাজে অবশ্যই সরিষার তেল ব্যবহার করুন ।
৩ .সবুজ চা:
সবুজ চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের একটি বড় উৎস।হজমের শক্তি বাড়াতে এবং দেহে জমে থাকা চর্বি পোড়াতে এর জুড়ি নেই । প্রতিদিন অন্তত ২ কাপ সবুজ চা খাবার তালিকায় যুক্ত করুন।এটি রক্তের LDL এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে তথা ওজন কমাতে সাহায্য করে । LDL হচ্ছে ক্ষতিকর কোলস্টেরল,যা রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত করে দেহের ক্ষতি সাধন করে ।
৪. টক দই:
টক দই এ আছে লাইকো প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম, যা চর্বি পোড়াতে দ্রুত সাহায্য করে। এছাড়া টক দই চিনিবিহীন বলে এতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জমা থাকে না বলে এটি ওজন কমিয়ে থাকে ।আর এর ব্যাকটেরিয়াসমুহ দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী যা আপনার পরিপাকতন্ত্রের কাজে সাহায্য করে ।
৫. আপেল :
আপেল আঁশ জাতীয় ফল বলে হজম হয় দ্রুত কিন্তু এর পেকটিন নামক এনজাইম অনেক সময় ধরে ক্ষুধাহীন অনুভূতি দেয় যাতে খাওয়া ও হয় কম ।আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি,কিন্তু সেই তুলনায় ক্যালরী অনেক কম।তাই রোজ অন্তত একটি করে হলেও আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন ।
৬. লেবু:
লেবুর রসে রয়ছে দেহের অম্লতা দূর করার আশ্চর্য ক্ষমতা ।এটি দেহের মেটাবোলিজম বাড়াতেও অনতিস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে,আর উচ্চ মেটাবোলিজম ওজন কমিয়ে আনে সহজেই ।
৭. কলা :
কলা হচ্ছে ক্যলসিয়াম ও সেরোটিনের এক উন্নত উৎস ।কলার ক্যলসিয়াম ও আঁশ ক্ষুধা নিবারণ করে দ্রুত আর সেরোটিন দেহ ও মন চাঙ্গা করে থাকে নিমেষেই ওজন কমানোর উপায় হিসেবে কলার ভূমিকা অদ্বিতীয় । আপনার যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনার পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন new health tips bd সাইটে। মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন। ধন্যবাদ
লিখেছেনঃ রোজা স্বর্ণা
0 comments:
Post a Comment